
ইসমাইল আশরাফঃ মানব সেবাই সর্বোত্তম। পৃথিবীর ইতিহাসে যারা চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন – তাদের স্মরণীয় বা বরণীয় হবার অন্তরালে যে মূলমন্ত্রটি রয়েছে তা হল মানুষ – ও মানবতার সেবা করা। তেমনি মানব সেবার একজন প্রজ্জলীত গুনী ব্যক্তিত্ব জনাব আবেদ আলী। যিনি ইতোমধ্যেই তার মমত্বময় কর্মগুনে বৃহওর উওরা তথা উওরখান ও দক্ষিনখান এর মানুষের হৃদয়ের কোমল অংশে ফুটন্ত রবির মতোই স্থান করে নিয়েছেন। কথা প্রসঙ্গে জনাব মোঃ আবেদ আলী জানান- ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ঢাকা শহরকে দুটি অংশে বিভক্ত করা হয়।
উত্তর ও দক্ষিণ এই দুই অংশে দুইজন মেয়রের অধীনে দেয়া হয়। এর মধ্যে ঢাকা উত্তরে নতুন ৩৬টি ওয়ার্ড সংযুক্ত করে উত্তরে প্রসারতা বৃদ্ধি নি:সন্দেহে প্রসংশার দাবি রাখে। আর ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক অকাল প্রয়াত হওয়ায় ও নতুন ৩৬টি ওয়ার্ড সহ উত্তর সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন অপরিহার্য হয়ে পড়ে। এয়ারপোর্ট সংলগ্ন দক্ষিণখান থানা একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হওয়ায় নির্বাচনী হাওয়ায় অনেকটা উৎসাহ, উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায় সাধারণ মানুষের মাঝে। একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলনের উদ্দীপনা অন্যদিকে তেমনী নেতা-নেত্রীর দলীয় নমিনেশন পাওয়ার দেন-দরবার, প্রচার প্রচারণা, ভাব-বিনিময়ের মাধ্যমে নিজেকে সক্রিয় করে তোলার মানসিকতায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত আছেন। জনাব মোঃ আবেদ আলী জানান- আমি মানুষের সেবা করি দায়িত্ব মনে করে। যা করি ভালবেসেই করি। জীবনের শেষলগ্নে শুধু মানুষের ভালবাসা আর দোয়া একান্তই কাম্য। ঢাকা মহানগর(উত্তর) সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের উত্তাপ হাওয়া এখন জনমনে। এক জরিপে দেখা যায়, ৪৭নং ওয়ার্ড থেকে মোট পদপ্রার্থী ১৩জন। সকলেই নিজনিজ প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত। কিন্তু ত্যাগী এই নেতা নীরবে নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছেন মানুষ ও মানবতার উন্নয়ন কল্পে।
দক্ষিণখান থানার কয়েকজন সাধারন মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়- তারা জনান মোঃ আবেদ আলী সাহেবকেই কাউন্সিলর হিসেবে দেখতে চান। কারন হিসেবে বলেন- আবেদ আলী ভাই বংশীয় মর্যাদায় খুব উঁচু মনের মানুষ। আমরা যেকোন সমস্যায় তার কাছে গেলে সুষ্ঠ সমাধান ও সহযোগিতা পাই। তার ভালবাসায় আমরা মুগ্ধ ও ঋণী। জনাব মোঃ আবেদ আলী বৃহত্তর উত্তরার দক্ষিণখান থানা আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক। তিনি অত্র বৃহওর উত্তরায় নিজ দলের জন্য নিরলস পরিশ্রম করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন গৌরব আর আদর্শের পাদপীঠে। ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি করতেন বিধায় দেশরত্ন শেখ হাসিনা সহ বহু গুনী ব্যক্তিত্বের সান্নিধ্যে এসেছেন বহুবার। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শ বুকে লালন করে তিনি মানবসেবায় নিজেকে বিলীয়ে দিয়েছেন মানুষের কল্যানময় চেতনার উৎকর্ষে। তিনি প্রতিটি পদক্ষেপে স্মরন করেছেন জাতীর জনক শেখ মুজিবর রহমানকে।
জনাব মোঃ আবেদ আলী দক্ষিণখানের ঐতিহ্যবাহী এক সম্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করতেন। তার রাজনৈতিক জীবনে চাওয়া-পাওয়া ছিল না। তিনি নিজের চাওয়া পাওয়াকে উর্ধ্বে রেখে কাজ করে গেছেন মাটি ও মানুষের জন্য। উওরখান ও দক্ষিণখানে গড়ে তুলেছেন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও মসজিদ। মাদকযুক্ত সমাজ গঠনে নিজ প্রচেষ্ঠায় গড়ে তুলেছেন কিছু সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। যুব সমাজ হোক মাদকমুক্ত – এই শ্লোগানকে সামনে রেখে তিনি মাদকের বিরূদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করেছেন। যা মরন নেশা মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনার নামান্তর ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
জনাব মোঃ আবেদ আলী বলেন ” আমি প্রচার চাই না। নীরবে, নিভৃতে মানব সেবা করে যেতে চাই। বিনিময়ে সাধারণ মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা – এটাই কাম্য “। সুদর্শন, বলিষ্ঠ, সদালপি ও মিষ্টভাসি এই নিরলস মানুষটি তেজদৃপ্ত কন্ঠে বলেন – ” আল্লাহ্ ছাড়া কারো কাছে মাথা নত করি না। অন্যায়কে প্রশ্রয় দেই না। যে সকল নেতা এখন ক্ষমতার দাপটে অপরাধ করে বেড়াচ্ছে – তাদের বংশ ও অতীত ইতিহাস জেনে দেখুন। তারা কতটুকু যোগ্য। আমি সতত মনে মানবতার সেবায় নিবেদিত প্রাণ। তাই মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বাকী সময়টুকু কাটাতে চাই “।